

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পর এবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নাজেহাল হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। বুধবার ওভাল অফিসে আয়োজিত বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথি রামাফোসার সরকারের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা ও ভূমি দখলের অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, অনেক মানুষ (দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়) মনে করছেন তারা নিপীড়নের শিকার। তারা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাইছেন। তিনি আরও দাবি করেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা হত্যার শিকার হচ্ছেন।
ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে কিছুটা টানাপোড়েন চলছে। ওভাল অফিসের গদিতে বসার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সহায়তা বন্ধ করেছেন, দেশটির সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায় আফ্রিকানদের আশ্রয়দানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছেন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়েরের জন্য কড়া সমালোচনা করেছেন।
এমতাবস্থায় দুদেশের সম্পর্ক মেরামত করার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন রামাফোসা। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তিনজন জনপ্রিয় গলফ খেলোয়াড়।
বৈঠকের শুরুতেই রামাফোসা বলে দিয়েছিলেন, তিনি মূলত বাণিজ্য নিয়ে আলাপ করতে চান। তবে খুবই দক্ষতার সঙ্গে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে রামাফোসাকে একগাদা অভিযোগে বিদ্ধ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ নিয়ে তিনি চিন্তিত। কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন এবং একটি ভিডিওকে নিজের দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন তিনি। তবে জেলেনস্কির মতো ট্রাম্পের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়াতে চাননি রামাফোসা।
তিনি বরং শান্তভাবে সব অভিযোগ শুনে ধীর গলায় বলেছেন, শ্বেতাঙ্গ কৃষক গণহত্যার অভিযোগ যদি সত্য হতো, তবে এই তিন ভদ্রলোক (আমন্ত্রিত গলফ খেলোয়াড়) আমার সঙ্গে থাকতেন না। তবে তার উত্তরে সন্তুষ্ট হননি ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, মার্কিন প্রশাসনের কাছে এরকম হাজারো খবর আছে। সবগুলোর যথাযথ জবাব দিতে হবে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্নভাবে বৈশ্বিক নেতাদের হেনস্তা করেছেন ট্রাম্প। এর আগে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানকে হোয়াইট হাউসে ডেকে নিয়ে দেখা না করেই ফেরত পাঠিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন